আমরা প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না

যে অবস্থানে দাঁড়িয়েছে দেশ এটাকে কোন সংজ্ঞায় ফেলা যায়? বিকল্প কোন রাজনৈতিক দল নেই যে মানুষ ভরসা করবে সেটায়। অবশিষ্ট রইল দুই। উভয়ে মুখোমুখি এবং জেদপূরণ করতে গিয়ে এবার জনগণ ও জনগণের বিরাগভাজন। শম্বুক গতিতে বহু প্রত্যাশার যুদ্ধাপরাধীর বিচার। জামায়াত নিষিদ্ধের
দাবী আমলে নিচ্ছে না সরকার। ওদিকে বিএনপি আন্দোলনে নেমে গণ-মাংসের স্বাদ পেয়েছে। যে গদির জন্য উন্মাদ বিএনপি, গদি পেলে তখন আওয়ামী লীগ মতান্তরে আজকের দর্শক জনগণ নিধনে নামবে  বর্তমান নাশকতার স্বরূপ খুঁজলেই তার বার্তা মেলে। আওয়ামী লীগ নিয়েও ভাবনার অবকাশ আছে যে, এই অবস্থান কেন? আগামী দিনগুলোতে জনতাকে নিধনের হাত থেকে বাঁচানো নাকি আওয়ামী লীগ নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে কঠোর ! আর কোন চিন্তা নয় যদি গণহত্যা থেকে ‘বাঙালী’ বাঁচাতে চায় তা হলে এ লড়াই চলুক।

একটি স্বাভাবিক মৃত্যুতে ঘুমের ওষুধ দিয়ে তাঁকে বাচানো হল। অন্য কারণটি হল, কোন মা তার সন্তানের মৃত্যু সহ্য করতে পারবেন না এ তো চিরন্তন। কিন্তু রাতে-দিনে পথে-বাসে-লঞ্চে-ট্রেনে যে মানুষ আগুন, নাশকতায় খুন হচ্ছে তাদের কি মা নেই? খুন হওয়া সন্তানের মা’কে কি ঘুমের ওষুধ কিনে দিয়েছেন বিএনপি?

খাস কথা হল গদি নিয়ে কামড়া-কামড়ি করছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাতে কুলি, মজুর, ছাত্র, গৃহিণী, জেলে, চাষা....আমাদের কি? আমরা কি কোন দিন বলেছি দেশ চালাবো? আমরা শ্রম দিয়ে শুধু বেঁচে থাকতে চেয়েছি। ভাষায় বাংলা, জাতিতে বাঙালী হয়ে। কিন্তু  সেই কুলি, মজুর, ছাত্র, গৃহিণী, জেলে, চাষাদের রাজনীতির জ্বালানি করছেন। তাহলে কি বাঙালীদের সাথে যুদ্ধ করছেন?

এ যুদ্ধ আর দীর্ঘায়িত করতে দেয়া মানে পরাভবতার অসুখ পুষে রাখা। আসুন জনতা আমাদের নিরাপত্তায় আমরা এবার মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলি। জাত-বিজাত, রাজনৈতিক দলের হানাহানি লাথি মেরে সরিয়ে দেই। আগুন, নাশকতা...আন্দোলনের নাম করে যেখানে বাঙালী হত্যার উপক্রম হবে একাট্টা জনতা আয়নাটা ঘুরিয়ে দেব মৃত্যুপরোয়ানা জারিকারীদের দিকে।

জাগ্রত বাঙালী বেচে থাকুন।